জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক সেবীরা ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট-ছোট মজমার মত জড়ো হয়ে মাদক সেবন ও বিক্রি চলে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ মজমা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আহত মাদকসেবীরা মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার যোগে এসে মাদক সেবন ও পরিবহন করে। জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে ফ্লাটফর্ম এলাকা, দাউদনগর রেলগেইট বস্তি, রেলওয়ে কলোনী, বাল্লা রেল গেইট, ওয়ার্কসফ এলাকা, নতুনব্রীজসহ প্রায় ২০টি স্পটে দেদারছে চলছে এ মাদক ব্যবসা। এলাকার উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। রেল গেইট এলাকার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মাল্টি মিডিয়ার ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় একটি প্রভাবশালী মহলে ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা চলে আসছে। ওই মহল এতই শক্তিশালী যে তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু আস্তে-আস্তে, ধুকে-ধুকে ধংসের পথে চলে যাচ্ছে এলাকার যুব সমাজ। মদ, গাজাঁ, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মরণ নেশা বিক্রি হয় এখানে। এ হাঠের বিক্রেতা এক শ্রেনীর সুন্দরী নারীরা। যারা সন্ধ্যা হলেই মুখে অতিরিক্ত প্রসাধণী ও উত্তেজক পোষাক পরিধান করে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে রেখে মাদক পরিবহন করেন। খদ্দেরও তাদের তালিকাভুক্ত, পাইকারী-খুচরা বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় মাদক। এরা সবাই পুলিশ-প্রশাসনের লাল তালিকায় অর্ন্তভূক্ত। মাঝে-মাঝে মাদকসহ ধরা পড়লেও ১ হাজার পিস-এর স্থলে ১০ পিস বলে তাদের অভিযুক্ত করা হয়। ফলে সহজেই আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এমনকি প্রশাসনকে মসোহারা দিয়ে নিয়মিত ব্যবসা করে রাতা-রাতি কোটিপতি হয়ে গিয়ে ধংস্ব করে দিচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজকে।